হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা অভিকর্ষ কাকে বলে এবং মহাকর্ষ কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করছি ।

অভিকর্ষ কাকে বলে?
পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে সকল বস্তু যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বল বলে ।
মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তু কণার মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে ।
বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা দেন ।
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ওজন ভিন্ন হয় কেন?
বস্তুর ওজন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভন্ন রকম হয় এর মূল কারন অভিকর্ষজ ত্বরণ । অভিকর্ষজ ত্বরণ কে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়।পৃথিবীর সব জায়গায় gএর মান সমান থাকে না। পৃথিবীর ব্যসার্ধের ওপর g এর মান নির্ভর করে। তাই সব জায়গায় পৃথিবীর ব্যসার্ধও এক নয় কারণ পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার ন। তাই g এর মান ও সব জায়গায় সমান নয়। এজন্যই বস্তুর ওজন সব জায়গায় সমান নয়। বস্তুর ওজন হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ ও বস্তুর ভরের গুনফল।
পৃথিবীর কেন্দ্রে g এর মান কত?
পৃথিবীর কেন্দ্রে g এর মান শূন্য হয় ।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য
মহাকর্ষ | অভিকর্ষ |
---|---|
মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তু কণার মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে । | পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে সকল বস্তু যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বল বলে । |
মহাকর্ষ যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে হতে পারে | অভিকর্ষ দুইটি বস্তুর একটিকে অবশ্যই পৃথিবীতে হতে হবে |
মহাকর্ষ বল দুর্বল প্রকৃতির হয় | অভিকর্ষ বল শক্তিশালী হয় |
মহাকর্ষ বল বিশ্বজনীন | অভিকর্ষ বল বিশ্বজনীন নয় |
ক্যালোরিমিতির মূলনীতি কি?
বিভিন্ন উষ্ণতায় থাকা একাধিক বস্তুকে পরস্পরের তাপীয় সংস্পর্শে রাখলে শক্তির সংরক্ষণ সূত্র অনুসারে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বস্তুগুলি তাপ বর্জন করে এবং অপেক্ষাকৃত শীতল বস্তুগুলি তাপ গ্রহণ করে । তাপের এই বিনিময়ের ফলে উভয় বস্তু ই একটি সাধারণ উষ্ণতায় চলে আসে এবং তাপীয় সাম্যবস্তায় উপনীত হয় । এটি ই ক্যালোরিমিতির মূলনীতি ।
আরও পড়ুন –
অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লেখ
আইসোটোপ কাকে বলে , আইসোবার কাকে বলে