আজকে আমরা, ফাইব্রিনোজেন কি? রক্তজালক কাকে বলে এবং তা নিয়ে আলোচনা করছি ।
রক্ত সংবহনতন্ত্র কাকে বলে ?
মানবদেহের অভ্যন্তরে যে তন্ত্রের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালিত হয় তাকে রক্ত সংবহনতন্ত্র বলে।
আর এইচ ফ্যাক্টর বা আর এইচ এন্টিজেন কী?
১৯৪০ সালে ল্যান্ডস্টেইনার এবং ওয়াইনার রক্তের লোহিত কণিকায় এক বিশেষ ধরনের এন্টিজেন আবিষ্কার করেন। এই এন্টিজেনকে আর এইচ এন্টিজেন বা আর এইচ ফ্যাক্টর বলে।

কোন রক্ত গ্রুপকে সার্বজনীন দাতা গ্রুপ বলা হয়?
গ্রুপ ‘O’ কে সার্বজনীন দাতা গ্রুপ বলা হয় ।
হিমোফিলিয়া কী?
রক্তরসে এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর অনুপস্থিত থাকলে তাকে হিমোফিলিয়া বলে।
রক্তের পি এইচ (PH) কত?
রক্তের PH 7.35-7.45
সজীব রক্তের তাপমাত্রা কত ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড?
সজীব রক্তের তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ।
রক্ত সংবহনতন্ত্র কি দিয়ে গঠিত ?
রক্ত সংবহন তন্ত্র রক্ত, হৃৎপিন্ড ও রক্তনালীসমূহ নিয়ে গঠিত ।
রক্তের উপাদান কয়টি?
রক্তের ২ টি উপাদান ।
রক্ত লবণাক্ত হয় কেন?
রক্তের মধ্যে অজৈব লবণের উপস্থিতির জন্য রক্ত লবনাক্ত হয় ।
রক্তজমাট বাধার মূল উপাদানসমূহ কি কি?
রক্ত জমাট বাধার মূল উপাদান থ্রম্বোপ্লাস্টিন, ক্যালসিয়াম আয়ন, প্রোথ্রম্বিন,
ফাইব্রিনোজেম ।
ফাইব্রিনোজেন কি?
রক্তজমাট বাধার মূল উপাদান যা রক্তরসে থাকে।
কোন রক্ত গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়?
AB+ গ্রুপকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয় ।
একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে প্রায় কত লিটার রক্ত থাকে?
একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে ।
সিরাম কি?
রক্ত তঞ্চনের বা রক্ত জমাট বাধার পর প্রায় বর্ণহীন হালকা হলুদাভ যে তরল অবশিষ্ট থাকে,
তাকে সিরাম বলে।
রক্তজালক কাকে বলে ?
শিরা ও ধমনীর সংযোগ স্থলে পাতলা প্রাচীর বিশিষ্ট যে সূক্ষ্ম নালিকা গুলি জালের মতো অবস্থান করে তাদের রক্তজালক বলে।
অ্যান্টিজেন কাকে বলে ?
অ্যান্টিজেন হলো একটি পদার্থ যা দেহের রোগ প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম, বিশেষত লিম্ফোসাইটগুলি সক্রিয় করে, যেগুলো দেহের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইকারী শ্বেত রক্ত কণিকা।
অ্যান্টিবডি কাকে বলে ?
একটি অ্যান্টিবডি হল ইমিউনোগ্লোবুলিন নামক একটি প্রোটিনের শ্রেণী, যা বিশেষ শ্বেত রক্তকণিকা দ্বারা তৈরি করা হয় যাতে একটি ইমিউন সিস্টেমের বাইরের উপাদান সনাক্ত ও নিরপেক্ষ করা যায়।
ব্যাপন কাকে বলে ?
যে ভৌত প্রক্রিয়ায় কোন পদার্থের অনুগুলি তাদের নিজস্ব তাদের নিজস্ব গতিশক্তির ফলে বেশী ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানের দিকে ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন বলে ।
আরও পড়ুন –
নেফ্রন ও নিউরনের মধ্যে পার্থক্য কি কি ?
উভচর প্রাণী কাকে বলে ? বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দাও ?