হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করছি । এই প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রশ্নের উত্তরগুলি ভালোভাবে মন দিয়ে পড়ুন ।

সঙ্গম সাহিত্য বলতে কি বোঝ?
এই সঙ্গম গুলিতে যে সাহিত্য রচিত হয় তাকেই সঙ্গম সাহিত্য বলা হয় । তামিল কবিদের সমাবেশ বা সংগঠন ‘সঙ্গম’ নামে পরিচিত ছিল । তামিল সাহিত্যের সার্বাধিক স্বীকৃত মহাকাব্য দুটি হল সাত্তানার রচিত মনিমেঘলাই এবং ইলেঙ্গ আদিগড় রচিত শিল্পাদিকরণ । সঙ্গম সাহিত্যের রচনাকাল আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দ ।
পুরাণ কাকে বলে?
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট শতাব্দীর আগের ইতিহাস রচনার অন্যতম উপাদান হল ‘পুরাণ’ । ব্রহ্ম, পদ্ম, বিষ্ণু, শিব, লিঙ্গ, গরুড়, নারদীয়, ভাগবত, অগ্নি, স্কন্দ, ভবিষ্য, ব্রহ্মবৈবর্ত, মার্কণ্ডেয়, বামন, বরাহ, মৎস্য, কুর্ম ও ব্রহ্মাণ্ড মোট ১৮ টি পুরাণ আছে ।
গোপুরাম কি?
চোল স্থাপত্যরীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মন্দিরের গোপুরাম বা সিংহদ্বার ।গোপুরাম গুলি খুব উঁচু এবং এদের গায়ে ছিল সুচারু অলংকরণ । গোপুরাম গুলি ছিল বহুতল ও এর শিখর ছিল উঁচুতে অবস্থিত । অনেক সময় বিশালাকার গোপুরামের সামনের মন্দিরটি থেকেও গোপুরামকে সুন্দর লাগত ।
বুদ্ধদেবের চার জন শিষ্যের নাম লেখ?
বুদ্ধদেবের চারজন শিষ্যের নাম নাম হল – আনন্দ, সারিপুত্তা, মোদগল্লায়ন ও উপালি ।
গুপ্ত বংশের প্রথম ও শেষ সম্রাট কে?
গুপ্ত বংশের প্রথম সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ও শেষ সম্রাট দ্বিতীয় জীবিত গুপ্ত ।
কোন গুপ্ত সম্রাট লিচ্ছবি দৌহিত্র হিসেবে পরিচিত?
গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত মুদ্রাতে নিজেকে লিচ্ছবি দৌহিত্র নামে পরিচিত । সমুদ্রগুপ্ত মুদ্রাতে নিজেকে লিচ্ছবি দৌহিত্র নামে পরিচিত দিয়েছেন ।
গুপ্তদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
গুপ্তদের আদি বাসস্থান সম্পর্কে মতপার্থক্য আছে । K.P Jaiswal এর মতে প্রয়াগ বা এলাহবাদ ছিল গুপ্তদের আদি বাসস্থান । D. Allan এর মতে মগধ এবং ডঃ গয়াল এর মতে উত্তরপ্রদেশ ছিল গুপ্তদের আদি বাসস্থান ।
কোন বিদেশী রাজারা সমুদ্রগুপ্তকে সম্রাট হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন?
বিদেশী শাসক দেবপুত্র শাহনুশাহীশখ মুরন্ড এবং সিংহলের রাজা মেঘবর্ণ সমুদ্রগুপ্তকে সম্রাট হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন ।
কালিদাস কোন রাজার সভাসদ ছিলেন?
কালিদাস দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভাসদ ছিলেন ।
আর্যভট্ট রচিত তিনটি গ্রন্থের নাম লেখ?
আর্যভট্ট রচিত তিনটি গ্রন্থের নাম হল আর্যভট্টিয়, দশগিতিকাসূত্র ও আর্যাস্টশতক ।
অমরকোশ কি?
অমরকোশ একটি বিশ্বকোষ গ্রন্থ যা রচনা করেছিলেন অমরসিংহ । প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে তিনি বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার সদস্য ছিলেন ।
আরও পড়ুন-
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কৃতিত্ব আলোচনা করো