আজকে আমরা সমযোজী ও তড়িৎযোজী বন্ধন এর পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করছি ।
সমযোজী বন্ধন কাকে বলে
ইলেকট্রন আদান প্রদান এর মাধ্যমে দুইটি পরমাণুর মধ্যে যে বন্ধনের সৃষ্টি হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন কাকে বলে
তড়িৎযোজ্যতার সাহায্যে যৌগ গঠনের সময় পরমাণুগুলির মধ্যে যে রাসায়নিক বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন বলে।
সমযোজী ও তড়িৎযোজী বন্ধন এর পার্থক্য
সমযোজী বন্ধন | তড়িৎযোজী বন্ধন |
---|---|
১) সমযোজী বন্ধন শুধুমাত্র অধাতুর মধ্যেই হয় । | ১) আয়নীয় বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন ধাতু ও অধাতুর মধ্যে হয় । |
২) সমযোজী বন্ধন তড়িৎ পরিবহন করে না । | .২) তড়িৎ যোজী বন্ধন তড়িৎ পরিবহন করে |
৩) সমযোজী বন্ধন ইলেকট্রন গঠন এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় । | ৩) তড়িৎ যোজী বন্ধন বৈদ্যুতিক আকর্ষণ এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় । |
৪) জলে সহজেই দ্রাব্য হয় না | ৪) জলে সহজে দ্রাব্য হয় |
সমযোজী বন্ধন এর বৈশিষ্ট্য
সমযোজী বন্ধন এর বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরুপ –
১) শুধুমাত্র অধাতুর মধ্যেই হয় সমযোজী বন্ধন হয় ।
২) তড়িৎ পরিবহন করে না ।
৩) ইলেকট্রন গঠন এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় ।
৪) জলে দ্রাব্য নয় ।
তড়িৎযোজী বন্ধন এর বৈশিষ্ট্য
১) ধাতু ও অধাতু উভয় এর মধ্যেই হয় ।
২)তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম ।
৩) তড়িৎ আকর্ষণ এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় ।
Read more :
যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে। হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস